অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দেশে এখন প্রাণঘাতী করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে কয়েকশ করে। করোনা উপসর্গ নিয়েও প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১০-১৫ জন করে। কিন্তু সরকার এসব মৃত্যুকে সাধারণ মৃত্যু হিসাবে ঘোষণা করছে। আর লকডাউনের কারণে সারাদেশে কর্মহীন মানুষ খাবারের জন্য হাহাকার করছে। বিভিন্ন স্থানে মানুষ বিক্ষোভ করছে।
কিন্তু প্রাণঘাতী এই করোনাকে পুঁজি করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন আন্তর্জাতিক মহলের সস্তা বাহ বাহ নেয়ার জন্য।
কিছু দিন আগে অ্যানালাইসিসি বিডি বহির্বিশ্বের প্রশংসা পেতে করোনার তথ্য গোপন করছে সরকার! শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বুঝাতে চাচ্ছে যে, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। আর স্বাস্থ্য সংস্থার অপদার্থ প্রধানও সঠিক তথ্য সংগ্রহ না করে শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করেই তাকে বাহ বাহ দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
দেখা গেছে, গত সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৯২ জন। ওই দিনই শেখ হাসিনা সারাদেশের জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আক্রান্তের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। হাসিনার এই নির্দেশনার পরই গত দুই দিনে কমে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। কমে যায় মৃত্যুর সংখ্যাও। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অথচ, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের সুনাম অর্জন করছে শেখ হাসিনা।
তারপর, লকডাউনের কারণে সারাদেশে মানুষ খাবারের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনা যা দিচ্ছে তা তার দলের নেতাকর্মীরাই মেরে দিচ্ছে। আর যা দেয়া হচ্ছে তাও পাচ্ছে তার দলের অনুগত সমর্থকরাই। খাদ্য সংকটে থাকা সাধারণ মানুষ কোনো খাবার পাচ্ছে না।
অথচ, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতির সময়ও শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ১০০ টন খাদ্য সামগ্রী ও চিকিৎসা সরাঞ্জাম পাঠিয়েছে মালদ্বীপে। জানা গেছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মুহাম্মদ সলিহ খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর জন্য শেখ হাসিনাকে ফোন করে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
সামর্থ্য থাকলে প্রতিবেশি দেশকে মানবিক কারণেই সাহায্য পাঠাতে হয়। এতে কারো কোনো আপত্তি নেই। প্রশ্ন হলো-এই মুহূর্তে কি অন্য কোনো দেশকে ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার মতো পরিস্থিতি কি বাংলাদেশের আছে?
রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ বলছেন, লকডাউনের কারণে সারাদেশে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মহীন মানুষ খাবারের জন্য রাস্তায় এসে প্রতিদিন বিক্ষোভ করছে। করোনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের চরম লুটপাটের কারণে বাংলাদেশে সামনে বড় ধরণের দুর্ভিক্ষ আসন্ন। সরকারি ভান্ডারে যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে তা দিয়ে সংকট মোকাবেলা করা সরকারের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অন্যদেশে খাদ্য পাঠানোর কোনো অর্থ থাকতে পারে না। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে কিছু দিন পরই সরকারই অন্যদেশ থেকে চেয়ে ত্রাণ আনতে হবে।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশেই এখন খাবারের জন্য মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনা গরিবদেরকে খাবার না দিয়ে তা পাঠিয়েছে মালদ্বীপে। এটা মানবিক কারণে নয়, শেখ হাসিনা তার নিজের ক্রেডিট নেয়ার জন্য এসব করছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুঝাতে চাচ্ছে যে, বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত। আসলে হাসিনার ঝুড়ি যে তলা ছাড়া সেটাতো কেউ জানে না।