• যোগাযোগ
বুধবার, মে ২৮, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Top Post

কাশ্মীর সমস্যা আর পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা কি একই?

আগস্ট ৬, ২০১৯
in Top Post, ব্লগ থেকে
Share on FacebookShare on Twitter

আহমেদ আফগানী

আমাদের দেশে কাশ্মীর নিয়ে কথা শুরু হলেই এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করে। তারা কাশ্মীর আর পার্বত্য চট্টগ্রামকে মিলিয়ে ফেলেন। তারা দাবী করেন কাশ্মীরের স্বাধীনতা চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামের দোষ কী? পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঠেকাতে সেখানে সেনা মোতায়েনের বিরোধীতা করে কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে এনে। তারা বলে ভারত কাশ্মিরের সঙ্গে যেটা করেছে, আমরাও একই কাজটাই করে চলেছি পাহাড়ে। এই নিয়ে আমাদের মধ্যেও হীনমন্যতা কাজ করে। আমরাও কনফিউজড হয়ে পড়ি। আজকের আলোচনায় বিষয়টা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো।

যেভাবে ৩৭০ ধারা সৃষ্টি হয়েছে…
ইংরেজদের থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়ে কাশ্মীরের শাসক ছিলেন মহারাজা হরি সিংহ, যিনি হিন্দু ছিলেন। কাশ্মীর প্রধানত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল ছিল। ভারত বা পাকিস্থানে যোগ দেয়ার ব্যাপারে হরি সিংহ দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, কারণ তার ধারণা ছিল তার গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে তার রাজ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। তিনি ভারতের সাথে যুক্ত হতে চেয়েছেন অন্যদিকে কাশ্মীর ছিলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। তাই সেখানের জনগণ পাকিস্তানের সাথে থাকতে চেয়েছেন।

কাশ্মীরের বৃহৎ রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের জনপ্রিয় নেতা শেখ আবদুল্লাহ ছিলেন মুসলিমদের নেতা। তিনি রাজার চাইতেও বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। শেখ আব্দুল্লাহ শুরুতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে তার মতামত দেন। এমতাবস্থায় রাজা স্বাধীন থাকার ব্যাপারেই মত দেন। এতে সম্মত হয় শেখ আব্দুল্লাহও। রাজা ভারত ও পাকিস্তানের সাথে একটি ডিফেন্স চুক্তি করার প্রস্তাব দেন যাতে তারা তাকে প্রতিবেশী হিসেবে মেনে নেয় এবং সীমান্ত সুরক্ষা পায়। পাকিস্তান সম্মত হয় এবং তার সাথে চুক্তি করে। কিন্তু ঝুলিয়ে রাখে ভারত। তারা কাশ্মীরকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে।

পাকিস্তানের নিষ্ঠাবান মুসলিমরা তাদের নেতাদের (রাজা ও শেখ আব্দুল্লাহ) এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তারা পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে। তাদের যুক্তি ছিলো যেহেতু ভারত তাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়নি, সুতরাং ভারত যে কোনো সময়েই কাশ্মীর আক্রমণ করবে। কাশ্মীরের মতো মুসলিম অঞ্চল ভারতের দখলের কবলে পড়লে কাশ্মীরের মুসলমানদের দুর্ভাগ্য বরণ করতে হবে। তারা মুসলিম সংহতির ভিত্তিতে গঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করে, শেখ আব্দুল্লাহকে গাদ্দার উপাধি দেয়। শেখ আব্দুল্লাহ ভেবেছিলো কাশ্মীর স্বাধীন থাকলে দিক কয়েক পরে সে কাশ্মীরের প্রধান শাসক হতে পারবে যেহেতু কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। এসময় রাজার লোকেরা আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণ চালায়, হত্যা করতে থাকে মুসলিমদের। যেহেতু মুসলিমরা দু’ভাগে বিভক্ত। তাই সে মুসলিম নিধনের সুযোগ গ্রহণ করে।

এই ঘটনার জেরে অল্পকিছুকাল পরেই পাঠান জনগোষ্ঠী পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে কাশ্মীরে প্রবেশ করে। মুসলিমরা শ্রীনগরের দিকে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হতে থাকে। ধারণা করা হয় মুসলিমদের বাঁচাতে জিন্নাহই পাঠানদের কাশ্মীরে পাঠায়। যেহেতু পাকিস্তান কাশ্মীরের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ, তাই সরাসরি সেনা হস্তক্ষেপ করেনি পাকিস্তান। পাঠানদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে কাশ্মীরের রাজা সামরিক সহায়তা চেয়ে ভারতকে চিঠি দেয়। ভারত তখন রাজাকে একীভূতকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার এবং সেই সাথে শেখ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করার দাবি করে। নেহেরু এখানে চালাকির আশ্রয় নেয়। সে জানে ভারত কাশ্মীর আক্রমণ করলে সব মুসলিম এক হয়ে যাবে। তাই সে ভারত আক্রমণ করার আগে গাদ্দার শেখ আব্দুল্লাহকে কথিত শাসক বানিয়ে নেয়, যাতে মুসলিমরা দ্বিধাগ্রস্থ ও বিভক্ত থাকে। কাশ্মীরের রাজা নিরুপায় হয়ে সব মেনে নেয়।

শেখ আব্দুল্লাহ ও ইন্দিরা

ভারতীয় সৈন্যরা জম্মু, শ্রীনগর দখল করে নেয়। কিন্তু শীতকাল শুরুর সাথে সাথে শুরু হওয়া এই প্রচণ্ড যুদ্ধের ফলে রাজ্যটির অধিকাংশ স্থান দুর্গম হয়ে পড়ে। নেহেরু এই বিবাদের উপর আন্তর্জাতিক দৃষ্টি স্মরণে রেখে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন এবং জাতিসংঘের সালিশি কামনা করেন। তিনি বলেন, অন্যথায় উপজাতীয় আক্রমণ থামাতে ভারতকে বাধ্য হয়েই পাকিস্তান আক্রমণ করতে হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সিদ্ধান্ত হয় গণভোটের মাধ্যমেই কাশ্মীরের ভাগ্য চুড়ান্ত হবে। ভারত সেই গণভোট কখনই অনুষ্ঠিত হতে দেয় নি। আজ পর্যন্ত না।

২৬শে জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে ভারতের সংবিধান ৩৭০ ধারা দিয়ে কাশ্মীরকে অধিভুক্ত করে। ভারত কাশ্মীরের পুরোটা দখলে নিতে পারেনি। ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের উত্তর এবং পশ্চিম অংশদ্বয়ের উপর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং উক্ত স্থানকে বর্তমানে আযাদ কাশ্মীর বলা হয়। ৩৭০ ধারা হলো কাশ্মীর রাষ্ট্র ও ভারত রাষ্ট্র একীভূত হওয়ার দলিল।

কী ছিলো ৩৭০ ধারাতে?
ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়।

ভারতভুক্তির শর্ত হিসেবে জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংসদ প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও যোগাযোগ- এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাধর। এর বাইরে এখানের নাগরিকরা দ্বৈর নাগরিকত্ব ভোগ করবে, কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান হবে, আলাদা পতাকা থাকবে, এখানে কাশ্মীরি ছাড়া ভারতের অন্য কেউ জমি কিনতে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে না। এখানের বিচার ব্যবস্থা ও আইন থাকবে আলাদা। স্বতন্ত্র।

কেন ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীর পুরো দখল করে নিলো?
কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির মূল লক্ষ্য ভারত সরকার এর ডেমোগ্রাফি বা জনসংখ্যার চিত্র বদলে দিতে চায়। আগে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ কাশ্মীরে জমি বা বাড়ি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারতো না। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে সে বাধা কেটে গেলো। যে কেউ এখন সরকার থেকে ভূমি অধিগ্রহণ করে শিল্পকারখানাও স্থাপন করতে পারবে। বিজেপি এখানে প্রচুর হিন্দুদের সেটেল করতে চাইবে অনেকটা ইসরাঈলের মতো। তারা যেভাবে বসতি স্থাপন করে ফিলিস্তিন দখল করেছিলো।

এর মাধ্যমে বর্তমানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা নষ্ট হয়ে যাবে। বিপুলভাবে হিন্দুদের সেটেল করে দিয়ে মুসলিম সংকীর্ণ করে ফেলা হবে। তাদেরকে উদ্বাস্তুও করে ফেলা হতে পারে। ডেমোগ্রাফি চেইঞ্জ হলে কাশ্মীর নিয়ে স্বাধীনতার দাবীদাররা হামেশাই কন্ট্রোল হয়ে যাবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কাশ্মীর সমস্যা কি একই রকম?
না, কখনোই নয়। ভারত একটি স্বাধীন জাতিকে জোরপূর্বক দখল করে তাদের অধীন করে নিয়েছিলো। কাশ্মীরীরা ইংরেজ আমলেও স্বায়ত্বশাসিত ছিলো। কিন্তু ভারত তাদের গোলামে পরিণত করেছে। ৩৭০ ধারা যার মাধ্যমে কাশ্মীর ও ভারত একীভূত হয়েছে সেই চুক্তিকে বিলোপ করে দিতে ভারত ঐ জাতির সাথে প্রতারণা করেছে। আর অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম কখনোই পাহাড়িদের ছিলো না। এই ভূমি সবসময় বাঙালিদের ছিলো।

আমরা কিছু পালিয়ে আসা ও নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছি। আর তারা এখন আমাদের বলছে তারা নাকি এই অঞ্চলের ভূমিপূত্র। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এখানে দ্রাবিড় জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, যাদের থেকে বাঙালি জাতির উৎপত্তি। অতএব আমাদের ভূমিতে অন্যরা এসে নিজেদের ভূমি দাবী মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়। আর আমাদের দেশে পাহাড়িদের সাথে কোনোভাবেই অন্যায় আচরণ করা হয় না। বরং তাদের সকল সুযোগ সুবিধা বাঙালিদের চেয়ে বেশি দেয়া হয়। তাদের স্বাধীনতা দাবী অন্যায্য ও অন্যায়।

সংগৃহীত: লেখকের ব্লগ থেকে

সম্পর্কিত সংবাদ

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য
Home Post

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক
Home Post

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?
slide

ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধের বার্তা কী?

মার্চ ১৯, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD