অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সরকারের হাসি মশকরার পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগের দুই ধাপের চেয়ে আরও বেশি খারাপ ছিল। গত শনিবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কোথাও ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি। অনেক কেন্দ্রের সামনে কিছু কুকুরকে ঘুমাতে দেখা গেছে। আর ভোটার না থাকায় গল্প করে সময় কাটিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। বসে ও হেটে অলস সময় কাটিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো-নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, শনিবার অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইসির দেয়া এই ভোটের হার নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সবার প্রশ্ন একটাই-ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ফাকা। শুধু সাধারণ ভোটারই নয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। কিন্তু, ব্যালট বাক্সে ৪১ শতাংশ ভোট কোথা থেকে এসেছে? এগুলো গায়েবি ভোটের হিসাব। নির্বাচনকে জায়েজ করতে নির্বাচন কমিশন ভোটার হার বেশি দেখিয়েছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশনের এই ভোটের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরাও। বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পাট্র্রি সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি এডভোকেট শেখ টিপু সুলতান ভোটের হিসাবে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ১৫ হাজার ১৬২ জন ভোটারের মধ্যে ২০ ভাগ ভোটারও কেন্দ্রে যায়নি। অথচ নৌকা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছে ৩৮ শতাংশ। নৌকার এত ভোট কোথা থেকে এল?
এদিকে, বিশিষ্টজনেরাসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন, বাবুগঞ্জের মতো দেশের সবখানেই ২০ ভাগের বেশি ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচন কমিশন যে ৪১ শতাংশ ভোট দেখিয়েছে এটা গায়েবি হিসাব। মানুষকে বুঝানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।