বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্টের যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, শপথ নিলে পাবলিক তাদের রাস্তায় রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে। যদি তারা জনগণের বিরুদ্ধে যান।
শনিবার দুপুরে মতিঝিলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে দলের পর্যবেক্ষণ ও করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক বর্ধিত সভাশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী অনতিবিলম্বে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অংশ গ্রহণ করবে না।’
ঐক্যফ্রন্টের পরাজিত প্রার্থীদের ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা থাকলেও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এর পক্ষে নয় উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, আদালত সব সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তাদের পরিচয় দিয়েছে। তাই ট্রাইব্যুনালেও হয়তো তারা বসেই আছে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য যে, মামলার উপস্থাপন যথাযথ হয় নাই। সেই জন্য আমরা এতে অংশগ্রহণ করার পক্ষপাতি না।’
সুলতান মনসুরের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি ভাবতে পারেন যে তিনি শপথ নিতে পারেন। কিন্তু জনগণ ভাবতে পারে না যে তিনি নির্বাচিত বা শপথ নিতে পারেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয় নাই। ভোট হয় নাই। তাই তাদের শপথ নেওয়ার কোনো কথা আসে না।
আইয়ুব খানের বুনিয়াদি গণতন্ত্রের মেম্বারদের গণরোষে পড়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন, পাবলিক তাদের রাস্তায় রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে। যদি তারা জনগণের বিরুদ্ধে যান।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন রেখে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি সংসদে না গেলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এ কথা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) কেন বলতে হবে? এটা নিয়ে তার কেন মাথা ব্যথা হবে আমরা বুঝি না। এই কথাটা তো নির্বাচনের আগেই মনে রাখা উচিত ছিল।’
এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর