অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গত ৩০ ডিসেম্বরের বিতর্কিত ও ভোট ডাকাতির অভিযোগে অভিযুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যগণ একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেছেন। শপথ গ্রহণ করতে গিয়ে তারা সংবিধানের লঙ্ঘণ করেছেন।
দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার এখনো পদত্যাগ করেননি। একাদশ সংসদের স্পিকারও এখনো মনোনিত কিংবা শপথপ্রাপ্ত হননি। সংসদ সদস্যদেরকে শপথ দিয়ে থাকেন স্পিকার। বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের শপথ নিজেই নিয়েছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর তিনি একাদশ সংসদ সদস্যদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান। যদিও একাদশ সংসদের স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন এখনো শপথ নেননি। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা এটাকে সংবিধানের লঙ্ঘণ হিসেবেই মনে করছেন।
এদিকে বিগত দশম জাতীয় সংসদের সদস্যগণও এখনো পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগ না করেই নতুন করে ২৮৯ জন বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দশম সংসদের সদস্যগণ এখনো পদত্যাগ না করে একাদশ সংসদের সদস্যগণ শপথ নেয়ায় সংসদের ৩০০ আসনের বিপরীতে দশমের ৩০০ জন ও একাদশের ২৮৯ জন মিলে এখন ৫৮৯ জন শপথপ্রাপ্ত সদস্য হলেন। এটাকেও সংবিধানের লঙ্ঘণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পিকার হিসেবে শপথ নেয়া ছাড়াই কেউ সংসদ সদস্যদেরকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন না। একইভাবে দশম সংসদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ না করেও কেউ একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন না। এটা সংবিধানের লঙ্ঘণ।
গত ৩০ ডিসেম্বর চরম কারচুপি, কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগের রাতেই দেশের প্রায় সকল কেন্দ্রে ৩০-৫০ শতাংশ ব্যালট ভরে রাখা হয়েছে। বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে যার প্রমাণচিত্রও রয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো এই বিতর্কিত নির্বাচনের তীব্র বিরোধীতা করেছেন। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত এই নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে। তারা এমন নির্বাচন কেবল উত্তর কোরিয়াতেই সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন।
বিতর্কিত এই নির্বাচনে প্রায় একশয়ের মত প্রার্থী নানা কারচুপি আর অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করেছেন। তারা পুনরায় এই নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। অবশেষে বিতর্কিতভাবে নির্বাচিত প্রার্থীগত তাদের শপথও নিলেন সংবিধান লঙ্ঘণ করে।