অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গুজবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে সম্প্রতি। পুলিশ অনেককেই গ্রেফতার করেছে। ফেসবুকের কাছে অনুরোধ করে অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ব্যাবস্থাও করেছে। এবার স্বয়ং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেই গুজব ছড়ানোর দায়ে একাট্টা হয়েছে ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক ও টুইটার প্রত্যেকে ১৫টি করে মোট ৩০টি বাংলাদেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যেগুলোর বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা সংবাদ শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেসবুক এবং টুইটার উভয়ই এসব ভুয়া পেজ ও অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে দায়ি করেছে। বাংলাদেশ সরকারই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের বিরুদ্ধে এসব ভুয়া সংবাদ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক ও টুইটার।
এ সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনলাইনে ফেইক কনটেন্ট পর্যবেক্ষণের দায়িত্বেও আছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডর মুফতি মাহমুদ খান। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এমন ভুয়া সাইট ও পেজ পরিচালনার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর হতবাক হয়ে গেছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সরকার গুজবের বিরুদ্ধে এত এত ব্যাবস্থা নিচ্ছেন, অথচ তারা নিজেরাই বিরোধীদের কুৎসা রটাতে গুজব ছড়াচ্ছে। ফেইক নিউজ সাইট ও পেজ চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি নিউজ সাইটের হুবহু নকল করে ফেইক নিউজ সাইট তৈরি করে সেগুলোতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব নিউজে খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছিলো। কয়েকটি ফেইক সাইট কিছুদিন আগেই বন্ধ হলেও এবার ফেসবুক ও টুইটার ওসব নিউজের সাথে সংযুক্ত ফেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল। এমনকি বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি অভিযুক্তও করল।
আরো পড়ুন: সরকার পক্ষের ১৫ ভুয়া পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুক
আরো পড়ুন: এবার সরকার পরিচালিত ১৫ ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার