অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বর্তমানে দেশে সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত ব্যক্তি হলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কর্তাব্যক্তি হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার নির্দেশনার আলোকেই সব কিছু পরিচালিত হবে। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হচ্ছে ইসি সচিব হেলালউদ্দীনের নির্দেশনার আলোকে।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইসির বৈঠকে কি কি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে সেটা আগেই সিইসিকে বলে দেন ইসি সচিব। আর ইসি সচিবের কাছে নির্দেশনা আসে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে । ইসি সচিবের কাছে সব কমিশনারই জিম্মি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হেলালউদ্দীন আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত লোক। বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ যে কয়জন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে বিএনপি জামায়াতের ওপর গুম খুন নির্যাতন করেছে তাদের অন্যতম ছিলেন ইসি সচিব হেলালউদ্দীন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হেলালউদ্দীন যেসব জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন সবখানেই বিএনপি জামায়াতের ওপর বর্বর নির্যাতন করেছেন। নিপীড়ণের এমন কোনো পথ নেই যা তিনি অবলম্বন করেননি।
বিশেষ করে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছেন। দু’বছর রাজশাহী বিভাগে যত গুম ও পলিটিক্যাল কিলিং হয়েছে, সবই ছিল তার লিস্ট করা। পুলিশ দিয়ে এসব গুম খুন করিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার হেলাল। তিনি নিজে করতেন এসব। এমনকি ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ এই হেলাল নিজে হুকুম দিয়ে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই) যৌথ বাহিনীর দ্বারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের ৫০/৬০টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এই হেলালের অত্যাচারে মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। অসহায় নারী পুরুষ আর শিশুদের চিৎকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হলেও হেলালের কানে সেই আওয়াজ আসেনি। সেই হেলালউদ্দীনকেই নির্বাচন কমিশনের সচিবের পদে বসিয়েছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশনে এসেও হেলালউদ্দীন আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে প্রতিদিন বিএনপি জামায়াতের যেসব নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে সবই ইসি সচিবের নির্দেশে হচ্ছে। তার চূড়ান্ত টার্গেট হলো যেকোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনা।
অনেকে মনে করছেন, বিএনপির কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে গুম অপহরণ করা হচ্ছে এসবের সঙ্গেও হেলাল জড়িত আছেন। ইসি থেকে হেলালউদ্দীনকে সরানো ছাড়া কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা ঠিক হবে না।