অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসেও দমন-পীড়নের পথ থেকে সরে আসেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে মুখ দিয়ে বললেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর গ্রেফতার-নির্যাতন একটুও কমেনি। বলা যায়-ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ এখন প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত তথা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর গ্রেফতার, রিমান্ড, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি পুলিশের গায়েবি মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতও প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের মৃত, অসুস্থ ও প্রবাসী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও নাশকতা ও গাড়িতে আগুন দেয়ার মামলা দেয়া হচ্ছে। দেশে কোনো আন্দোলন নেই, হরতাল নেই, অবরোধ নেই তারপরও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে।
বিশেষ করে আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হবে এমন লোকদেরকে দেখে দেখে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে যাতে তারা আর এলাকায় ঢুকতে না পারে। আর মাঠে যারা একটু সক্রিয় আছেন তাদেরকে অন্যায়ভাবে রাতের আঁধারে বাসা-বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন।
এরপর, জামায়াত-শিবিরের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদগুলোতে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের এসব তল্লাশি ও অভিযানের কারণে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি মসজিদে এখন আর আযান দেয়া হয় না। এছাড়া, বৃহস্পতিবার সকালে জয়পুরহাটে ফজরের নামাজের পর মসজিদে ঢুকে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ প্রায় ১৯ জনকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে পুলিশ। সাংগঠনিক বৈঠক করাতো দূরের কথা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এখন মসজিদে গিয়ে নামাজও পড়তে পারছেন না।
এভাবে সরকার মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার-হয়রানি ও গুম-অপহরণের মাধ্যমে সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে।
এদিকে, সরকারের এসব গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর বিশিষ্টজনেরাও মনে করছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতেই সরকার শেষ মুহূর্তে এসে গ্রেফতার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তবে, এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ক্ষুব্ধ জনগণ যে মুহূর্তে মাঠে নেমে আসতে পারে। এবার একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে দেবে না।