অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
এবার সরকারি চাকরিতে কোটা বহালের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বুধবার দুপুরে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এরপর বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন কোটা চাইলে আবার আন্দোলন করতে হবে। আর আন্দোলনও শক্ত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই সন্ধ্যার পর কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠন।
কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের রায় আছে। এটা আমি বাতিল করতে পারবো না। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করলে আদালত অবমাননা হবে। আমার পক্ষে এটা করা সম্ভব হবে না। কিন্তু বুধবার দেখা গেছে, আদালতের অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ কোটা বাতিলে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এদিকে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, আমরা কোটা বাতিল চাই না। আমরা চাই সংস্কার। কোটা থাকবে তবে মেধাবীদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে সংস্কারের পরিবর্তে সব কোটা বাতিল করে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পরই শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল যে, সরকার আসলে কোটা বাতিল চায় না। ভিন্ন একটি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরেকটি পক্ষকে কোটা বহালের দাবিতে মাঠে নামাতেই তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন। আর সেটাই এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই কোটা বহালের দাবিতে বুধবার রাতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগে অবস্থান করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
এখন রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ বলছেন, কোটা বাতিলের ঘোষণা আইওয়াশ মাত্র। সরকার পরিকল্পিতভাবেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে মাঠে নামিয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাদেরকে উস্কে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উস্কানিতেই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা মাঠে নেমেছে।