হাসান রূহী
দেশে যখন অব্যাহত চুরি, লুটপাট, দুর্নীতি আর ব্যাংক ডাকাতির জয়জয়কার চলছে তখন দেশের মানুষ করছেটা কি? তারা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে? আমার প্রবাসী বন্ধুরা ফোনে এভাবেই আমাকে জিজ্ঞাসা করে। তাদের সে জিজ্ঞাসায় মিশে থাকে ক্রোধ, বেদনা এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা। আবার এসব প্রশ্ন যে একদম অমূলক তাও নয়। কিন্তু প্রশ্নে উত্তর তাহলে কি?
গণমানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে খর্ব হয় সেখানে কথা বলা আর জানের শত্রুর হাতে মারণাস্ত্র তুলে দেয়া সমান কথা। কিন্তু এমন পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি কিভাবে হলো? কিংবা এ পরিবেশের জন্য জনগণের আদৌ কোন দায় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
বর্তমান ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দীনের পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলেও বিরোধী দলগুলো গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং অনির্বাচিত সেনা সমর্থিত সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে ২০০৮ সালের সে নির্বাচন মেনে নেয়। কিন্তু, ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকেই ফ্যাসিবাদী আচরণ প্রকাশ করতে থাকে আওয়ামী লীগ। জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে ভারতের তাবেদারী ও তোষণনীতির মাধ্যমে দেশকে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার পায়তারা শুরু করে। ২৫ ফেব্রুয়ারীতে দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর উচ্চপদ্স্থ কর্মকর্তাদের হত্যার আয়োজন করে নতুন ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার। হত্যার এ আয়োজনের পেছনে যে ভারতের কলকাঠি ছিল তা শুরু থেকে বিভিন্নভাবে উঠে আসলেও সেসব বালিচাপা তেয় তারা। এরপর টিপাইমুখ, ট্রানজিট, সুন্দরবন থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে ভারতের প্রতি অগ্রহনযোগ্য নতজানু পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন ঘটাতে থাকে। অন্যদিকে দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করার নাম করে মূলত ইসলাম বিরোধী নানা কর্মকান্ডে আন্তরিকতা ও মনযোগের সাথে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বরাবরের মতই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ওপাড় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট আসে জামায়াত নির্মূলের। শুরু হয় জামায়াত নির্মূলের নিত্য নতুন প্রজেক্ট। সামনে নিয়ে আসা হয় ৩৮ বছর পেছনে ফেলে আসা একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধ।
বিশ্বজুড়ে সবাই যখন এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা করছে, তখন আওয়ামী লীগ সরকার বলল- ‘আমরা ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে চাই’। তারা বললো ১৯৭১ এর দেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার করে জাতিকে কলঙ্ক ও দায়মুক্ত করতে চাই। শুধু চাই বলেই বসে থাকলো না। তড়িঘড়ি করে এসবের আয়োজনও করে ফেলে। সংবিধান থেকে বাদ পড়ে ‘আল্লাহর উপর আস্থা’। আইনকে যাচ্ছেতাই বিকৃত করে শুরু হয় কথিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধের বিচার। গঠিত হয় ট্রাইব্যুনাল। নাম হয় আন্তর্জাতিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তোপের মুখে পড়ে বিতর্কিত এই ট্রাইব্যুনালের হাস্যকর পরিচয় তারা দাঁড় করায়। সরকার তরফ থেকে বলা হয়- এটা ‘ইন্টারন্যাশনাল’ তবে ‘ডমেস্টিক’!
কথিত এই গৃহপালিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল শুরুতেই হোঁচট খায়। চিন্তায় পড়ে যায় আদৌ কি তারা জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’ এর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবে? কেননা ডমেস্টিক কিংবা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ বলতে নির্দিষ্ট কিছু অপরাধ বুঝায়। জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণ করা শুধু কষ্টসাধ্য নয়, রীতিমত অসাধ্য হবে। এখানেই উন্মোচিত হতে থাকে কথিত এই ট্রাইব্যুনালের আসল চেহারা। কোন রাখঢাক না রেখেই হঠাৎ করে বুলি পাল্টে বলতে থাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার’। প্রথমে কথিত গণআদালতে রাজাকার, এরপর যুদ্ধাপরাধী, এরপর মানবতাবিরোধী, এরপর একাত্তরের পরাজিত শক্তি- যেভাবেই বলা হোক না কেন, স্কাইপ কেলেঙ্কারীর পর সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এসবের একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করা। সেজন্যই সাজানো হয় ‘আমি খাড়াইয়া যামু, আপনি বসাইয়া দেবেন’ টাইপের নাটক।
প্রশ্ন হতে পারে এসব নাটক কি জনগণ চোখ বুজে মেনে নিচ্ছিল? একদমই না। বরং সেই টিপাইমুখ থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধের কথিত বিচার এমনকি ৫ জানুয়ারী নির্বাচন পর্যন্ত জনগণ সাধ্যমত প্রতিবাদ প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু অব্যাহত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণ টিকে থাকা খুব সহজ কোন কাজ নয়। মূলত ওপাড়ের পরামর্শে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে সামনে এনে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করে। আওয়ামী লীগের সে উদ্যোগ সফল হয়ে না বললেও ব্যর্থ হয়েছে তাও বলার উপায় নেই। দীর্ঘ সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকা বাঘা বাঘা নাস্তিকদের সামনে নিয়ে এসে তরুণ প্রজন্মকে নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে। জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের ইস্যুকে শক্তভাবে কাজে লাগায়। সরকারি নিরাপত্তায় গড়ে তোলা হয় কথিত গণজাগরণ মঞ্চ। সেই মঞ্চের দোহাই দিয়ে ইতিহাস ভেঙে রাষ্ট্রপক্ষের আপীল করার মত ন্যাক্কারজনক আইন করে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেয়ার বন্দোবস্ত করে আওয়ামী লীগ।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়া হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় কথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আর তাতেই অগ্নিগর্ভে পরিণত হয় দেশ। আদালতকে ব্যবহার করে যে এ অন্যায় রায় দেয়া হয়েছিল তা কুখ্যাত বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপ কেলেঙ্কারীতে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। আল্লামা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে কুরআনপ্রেমি জনগণের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায় পুলিশ-র্যাব-বিজিবি। জামায়াত নেতাদের হত্যার এ আয়োজনে শেষ পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাসহ বিভিন্নভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে নাস্তিক জাগরণের বিপরীতে সরকারের বিতর্কিত নারী নীতিসহ ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড ও ইসলাম, কুরআন ও রসূল (স.)কে অবমাননাকারী শাহবাগী নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে ধর্মপ্রাণ মানুষের পক্ষ থেকে ১৩ দফা দাবী নিয়ে রাজপথে নামে হেফাজতে ইসলাম। একদিকে নাস্তিকদের আন্দোলনে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সরকার। অন্যদিকে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালানো হয় হেফাজতে ইসলামীর ডাকে রাজধানীতে আসা ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীদের ওপর।
তারপরের ইতিহাস সবার জানা। বিরোধী মত দমনে এত গুলির ব্যবহার বোধকরি জাতি ১৯৭১ সালেও দেখেনি। ছোটবেলা থেকে জানতাম পুলিশ ইচ্ছা করলেই গুলি করতে পারে না। গুলি চালাতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেসব জাতিকে বেমালুম ভুলিয়ে দিল। এখন পুলিশ মনে চাইলেই শত নয় হাজার রাউন্ড গুলি চালিয়ে রাস্তায় লাশের স্তুপ করে দিলেও কোন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
শুধু তাই নয় এই পুরোটা সময় জুড়েই বিরোধী মত দমনে গুম-খুন আর গুপ্তহত্যার মহোৎসব শুরু করে কথিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঝে মাঝে দুয়েকটা বুমেরাংও হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় সাজা হয় আওয়ামী মন্ত্রী মায়ার জামাই তারেক সাঈদসহ বেশ কয়েকজন র্যাব সদস্যের। সর্বশেষ কক্সবাজারে যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর একরামও তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এসব তো বললাম সরকার দলীয় ব্যাপার। বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরের কত নেতা-কর্মীর যে আজ পর্যন্ত খোঁজই মেলেনি তা হিসেব করে বলা বেশ কঠিন। শুধুমাত্র ঝিনাইদহেই অন্তত ২০ জন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীকে পুলিশ ও ডিবির পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।
কিন্তু এসব ঘটনা ঘটলো কি করে! দেশের সাধারণ জনগণ এসব অন্যায়ের কি প্রতিবাদ করতে পারলো না? সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ করেছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মত সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর কেউ এতটাই ভয় পেয়েছেন যে, নীরব দর্শকের জীবনকেই তারা ঝুঁকিতে পড়ার চেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য মনে করেছেন। এতে ফলও মিলেছে। সাধারণ জনগণ দেখেছে- পুলিশ মেরেছে, কাকে মেরেছে? বিএনপি নেতা। কাকে মেরেছে- শিবির নেতা। আহারে ছেলেটা খুব ভালো ছিল- ইশশশ। কাকে মেরেছে- জামায়াত নেতা- যাক বাবা, এইজন্যই তো আমি কোন রাজনীতি করি না। রাজনীতি পছন্দও করি না।
এসব ছিল একশ্রেণির জনগণের প্রতিক্রিয়া। আরও অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। সংক্ষেপে লেখার স্বার্থে সে আলোচনায় যেতে চাই না। বিএনপি মরেছে,জামায়াত মরেছে, শিবির মরেছে, ছাত্রদল মরেছে, হেফাজত মরেছে। এরকম ট্যাগ লাগিয়ে দিলেই জনগণ নীরব। যেন বিএনপি, জামায়াত, শিবির, ছাত্রদল, হেফাজত ওরা কেউ মানুষ না। যেন ওদেরকে পুলিশ ইচ্ছা করলেই গুলি করে মারার ইখতিয়ার রাখে!
আর এখন! এখন কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে তাদের শিবির-ছাত্রদল বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারণ শিবির ছাত্রদল বলে মারার একটা অঘোষিত বৈধতা পেয়ে গেছে প্রশাসন। ফলও মিলছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের শিবির ট্যাগ লাগিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তা থেকে যৌথ উদ্যোগে তুলে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ-পুলিশ। যাকে তাকে শিবির বলে হাতুড়ি মেরে হাড় ভেঙে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। কিন্তু জনগণ কিছুই বলতে পারছেনা।
দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ে, গ্যাসের দাম বাড়ে, মশায় কামড়ে হাজার হাজার মানুষের ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া বানিয়ে দেয়, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে যায়, শেয়ার বাজার লুট হয়, ব্যাংক ডাকাতির মহোৎসব চলে, কোটি গ্রাহকের ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক চোখের পলকে দখল হয়ে যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে গচ্ছিত সোনা তামা হয়ে যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা বাতাসে মিলিয়ে যায়, ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোট শেষ হয়ে যায়- কিন্তু জনগণ উহ! আহ! ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। অনেক সময় উহ! আহ! করারও সুযোগ পায় না। যারা একটু সামাজিক মাধ্যমে হইচই করতো তাদের দিকেও ৫৭ ধারা আর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর কামান দাগিয়ে রাখা হয়েছে। আইন পাশ হলেই হয়তো শুরু হয়ে যাবে হয়রানি। আর তার আগ পর্যন্ত মাহমুদুর রহমানের মত জেলায় জেলায় মানহানির মামলা আর ছাত্রলীগের হামলা চলতে থাকুক। আর জনগণ গালে হাত দিয়ে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখুক।
যেভাবে র্যাব, পুলিশ, ডিবি, বিজিবি এমনকি আনসারকেও জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো এবং গুম বাণিজ্যের সুযোগ দিয়ে রাখা হয়েছে তাতে জনগণেরও বা কী করার আছে! এক রসিক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা একটি গল্প বলে লেখার যবনিকা টানতে চাই।
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় একজন জোরে জোরে চিৎকার করছে, “প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার, প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার”।
পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেল, কোর্ট বসল।
সে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিচারককে বলল,
“আমি তো বলিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার,আমি বলেছি উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার”।
বিচারক বলল, “বললেই হল, আমরা জানি না কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার?”
অবশেষে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার মহা অপরাধে তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হল।
সুতরাং, প্রবাসে থাকা বন্ধুরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন দেশের মানুষ করছেটা কী! আপনারা যেসব দেশে থাকেন সেখানে জনগণ অন্যায় দেখলে নির্দ্বিধায় কথা বলার সুযোগ পায়। যে সুযোগের আজ অভাব রয়েছে স্বাধীন বাংলায়…
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট