নরেন্দ্র মোদির অনুমতি নিয়েই ১৯৬ জনের বিশাল বহর নিয়ে চীন সফরে গিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সফরটি তিনি পূর্ণ করতে পারছেন না। একদিন আগেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। সফর সংক্ষিপ্ত করে কেন তিনি দেশে ফিরছেন-সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। পরিস্থিতি বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে একদিন আগেই চীন থেকে হাসিনার দেশে ফেরার সঠিক কারণ জানাবে না। আর ভারতের চাপেই যে হাসিনা সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরছেন এতে কোনো সন্দেহ নাই।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন একবার বলেছিলেন যে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। ওই সময় মোমেনের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক আলোচনা-সমালোচনা এবং সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হলেও মূলত তিনি সঠিক কথাই বলেছিলেন। কারণ, একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন আরেকটি দেশের অনুমতি ছাড়া তৃতীয় কোনো দেশে সফর করতে না পারে-তাহলে তাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতোই।
শেখ হাসিনার চীন সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ভারতের কোনো আপত্তি নাই। তার এ কথার তাৎপর্য অনেক গভীরে। তার কথার মানে হল-হাসিনার চীন সফর নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তারা অনুমতির দেয়ার পরই হাসিনা চীন সফরে গেছেন। এতে প্রমাণ হয় হাসিনা স্বামীর মতোই মোদির আনুগত্য করেন। মোদি যা বলেন তিনি সেভাবে কাজ করছেন।
এদিকে, চীন সফর সংক্ষিপ্ত করে হাসিনার একদিন আগে দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রেস নোট দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১০ জুলাই বুধবারের মধ্যে সব কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রাতে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রেস নোট ভুয়া। তারা হাসিনার দেশে ফেরার সঠিক কারণ জানায়নি। শেখ হাসিনা চীনে পৌছার পরই তিনি তার কর্মকর্তাদের বলেছেন, ১০ তারিখ রাতেই দেশে ফিরে যাবো। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ পাওয়ার পর পরই কর্মকর্তারা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করেছেন। আর চীন সফর নিয়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় তারা তাৎক্ষণিক এই সংবাদটি কাউকে জানায়নি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম থেকেই হাসিনার চীন সফর ভারত ভালভাবে নেয়নি। আর চীনের সাথে হাসিনার এতটা মাখামাখি ভারত কখনো সহ্য করতে পারেনি। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে ভারত। জানা গেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাসিনার বৈঠকগুলো সংক্ষিপ্ত করার জন্যও ভারত থেকে চাপ দেয়া হয়েছে। মূলত ভারতের চাপের মুখেই হাসিনার তার চীন সফর সংক্ষিপ্ত করে একদিন আগেই দেশে ফিরে আসছেন।
Discussion about this post