২০ দলীয় জোট থেকে সদ্য বের হওয়া ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপিও ভেঙে যাচ্ছে। ন্যাপের গোটা পাঁচ ছয় নেতা ছাড়া প্রায় সবাই ২০ দলীয় জোটে থেকে যাচ্ছেন। বুধবার অথবা বৃহস্পতিবারের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যাপের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার করে নিজেরা দলের হাল ধরার ঘোষণা দিয়ে ২০ দলীয় জোটে থেকে যাবে বলে জানা গেছে। একই অবস্থা এনডিপিতেও। এ দলটিরও ৫-৬ জন বাদে সব নেতাই জোটে থেকে যাচ্ছেন।
ন্যাপ ও এনডিপি বিশেষ প্রলোভনে ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করায় দলের অধিকাংশ নেতাই নাখোস। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন হঠকারি সিদ্ধান্তের চুড়ান্ত জবাব দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সকল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ২০ দলীয় জোট না ছাড়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেছেন ন্যাপের কয়েকজন নেতারা।
তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার করে নিজেদের নতুন নেতা ঘোষণা করা হতে পারে। দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন শাওন সাদেকীর মধ্যে কেউ হাল ধরতে পারে বলে জানা গেছে।
ন্যাপের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন শাওন সাদেকী মানবজমিনকে বলেন, দলের মহাসচিবসহ হাতে গোনা ৪-৫ জন ছাড়া প্রায় পুরো ন্যাপই ২০ দলীয় জোটে থাকবে। মঙ্গলবারের ২০ দলীয় জোট ছাড়ার সংবাদ সম্মেলনে যারা গিয়েছিল তারাও অধিকাংশ ফিরে আসবে বলে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু ভাইয়ের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে। তিনি ২০ দলেই থাকবেন। তবে দলের নেতারা এই অবস্থায় আমাকে হাল ধরার কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত আমিই হয়তো ন্যাপের হাল ধরে ২০ দলীয় জোটে থেকে যাব। একইসঙ্গে ২০ দলীয় জোট ত্যাগকারী দল এনডিপির ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেম হোসেন দলের হাল ধরছেন। তিনি ২০ দল ছেড়ে যাচ্ছেন না। তিনিসহ দলের অধিকাংশ নেতাই ২০ দলীয় জোটে থাকছেন।
যোগাযোগ করা হলে এনডিপির ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে জোট ছেড়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। বাকিটা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বলতে পারি।
এর আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এ দু’টি শরিক দল। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পেক্ষাপটে দল দু’টি ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করায় কৌতূহল সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর ২৪ ঘন্টা না পার হতেই আবার দল দু’টিতে ভাঙনের খবর শোনা যাচ্ছে। যা বুধবার নাগাদ পুরো পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: মানবজমিন