‘সমঝোতা’ না হলে ‘আন্দোলন’-এ ফয়সালা হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, যদি তারা (সরকার) সমঝোতায় না আসে, আর যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থা না করে, তাহলে যার কপালে তা, আমাদের কিছু বলার থাকবে না।
সোমবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
মওদুদ আহমদ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুটি পথ আছে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার। একটা হলো সম্মানজনকভাবে বিদায় নেয়া। আরেকটি হলো একেবারে অপমানিত-লাঞ্ছিত এবং একেবারে অসম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করা বা সরকার থেকে চলে যাওয়া।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখন পছন্দ করতে হবে, কোনটা উনি চান। যদি উনি সম্মানের সঙ্গে যেতে চান, তাহলে সমঝোতায় আসতে হবে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ যদি হেরেও যায় তবুও প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেবেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলনে নামবে। সেই আন্দোলনে যে জোয়ার আসবে সেই জোয়ারে আওয়ামী লীগ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
তেজগাঁও থানায় দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেক রহমানের বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে ‘প্রতিহিংসামূলক’ উল্লেখ করে বলেন, আজকে তারেক রহমানের জন্মদিন। কী রকম প্রতিহিংসামূলক একটি সরকার হতে পারে যে জন্মদিনে রাষ্ট্রদ্রোহ একটি মামলায় তারেক রহমানসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে মহানগর জজ আদালতে বিচার শুরু করার আদেশ দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানায় এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা করেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা সোমবার তেজগাঁও থানার ওই মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, একুশে টেলিভিশনের সাবেক কর্ণধার আব্দুস সালামসহ চারজনের বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন আদালত।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post