অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। যদিও শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকেরা চাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেেছন। কিন্তু সম্প্রতি সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বাতিল ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধের ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে দেশে সত্যিকার অর্থে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ডলার ক্রাইসিস চরম আকার ধারণ করেছে। যেকোনো মুহূর্তে দেশে আমদানিতে বড় ধরণের ধস নামবে।
সম্প্রতি বিদ্যুত নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি নোটিশ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার দলের দুর্নীতিবাজরা দীর্ঘদিন ধরেই ডাক-ঢোল পিটিয়ে আসছে। সারাদেশে হাসিনা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মহা উৎসব পালন করেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে নাকি হাসিনা দেশকে সিঙ্গাপুরের চেয়েও অনেক উন্নত বানিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ যে জোড়াতালির ছিল সেটা সাধারণ মানুষ জানতে পারেনি। তবে সেটা এই এখন প্রকাশ হয়ে গেছে।
দেখা গেছে, গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে রাত ৮ টার পর থেকে সকল প্রকার দোকানপাট, কাচাবাজার, শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে হঠাৎ করে কেন এই নোটিশ? এমন একটি উন্নয়নশীল দেশে রাত ৮ টার পর সব কিছু বন্ধ থাকবে কেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দরকার সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ এখনো উৎপাদন হয়নি। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই সরকার নাম ফুটানোর জন্য বাড়ি বাড়ি খাম্বা বসিয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়েছে। এখন তাদের কেরামতি ধরা পড়েছে। উপায় না দেখে এখন সব কিছু বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাসিনা। আসলে সাশ্রয় নয়, দেশে বিদ্যুতের বড় ধরণের সংকট চলছে।
শেখ হাসিনা ও তার দলের চেলারা সব সময় দাবি করে আসছে, দেশে নাকি বিদ্যুৎ উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। এই উৎপাদনের সাথে তো বিদ্যুৎ আমদানিও করা হচ্ছে। তাহলে এত বিদ্যুৎ গেল কোথায়? মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট ও কাচাবাজার বন্ধ রেখে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়ে লাভ কি?
কিন্তু অনুসন্ধান বলছে ভিন্ন কথা। দেখাগেছে ক্ষমতাসীনরা বিভিন্নভাবে প্রতি বছর বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেটের টাকা লুটিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ঘরে ঘরে বিদ্যুতের নামে দাম বাড়িয়ে চলছে। শুধু তাই নয় “দক্ষিন এশিয়ায় প্রথম ১০০% বিদ্যুতের দেশ বাংলাদেশ” এসব মিথ্যাচার করেই চলছে।
বছরের শুরুতে ‘বাংলাদেশ বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এই বিষয়টি প্রচার করতে গিয়ে “দক্ষিন এশিয়ায় প্রথম ১০০% বিদ্যুতের দেশ বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি তথ্য দেশীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটি মিথ্যা। রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে ক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম শতভাগ বিদ্যুৎ এর দেশ শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয়।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে রিউমর স্ক্যানার টিম বিশ্ব ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর শতকরা বিদ্যুতায়নের তালিকা খুঁজে পায় এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে হালনাগাদ করা তথ্য যুক্ত সে তালিকায় দেখা যায় ২০১৮ সালে ভুটান, মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।
Discussion about this post