অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গত সোমবার প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছেন। পথসভা ও ঘরে ঘরে গিয়ে নিজ নিজ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো প্রচারের শুরুতেই বিরোধী জোটের প্রার্থীরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের পথসভা, প্রচার মিছিল ও মাইকিংয়ে হামলা-ভাঙচুর চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি মহাসচিব যিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। সেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ড. আব্দুল মঈন খানের পথসভা ও তাদের গাড়িবহরে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি জোটের প্রার্থীদের পথসভা ও প্রচার মিছিলে হামলা ভাঙচুর করা হচ্ছে।
বলতে গেলে, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের লোকজন বিরোধী জোটের প্রার্থীদেরকে মাঠেই নামতে দিচ্ছে না। তারা নির্বাচনী প্রচারে নামলেই তাদেরকে বাধা দেয়া হচ্ছে। কেড়ে নেয়া হচ্ছে পোস্টার ও প্রচারের মাইক। পুলিশ আটক করে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকদেরকে।
প্রচারণার মাত্র প্রথম দুইদিনেই যেভাবে হামলা, ভাঙচুর, মারধর ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো নির্বাচনে এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেনি বলে মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ। বলা যায়, নির্বাচনের উৎসব এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা এসব হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় সামান্য একটু বিব্রতবোধ করেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। পুলিশ প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কমিশনের কথা মানতে বাধ্য তারা। তারপরও নির্বাচন কমিশন কোনো কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বুধবার সকালে কমিশনের পক্ষ থেকে বিব্রতবোধের কথা জানানোর পরও সারাদেশে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাজী রকিবউদ্দীনের সেই সহিংসতার পথেই হাটছেন বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা। রকিবউদ্দীনও নির্বাচনগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রথম থেকেই যেভাবে বিরোধী জোটের প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা ও মারধর শুরু হয়েছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন নির্বাচনও ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। আর ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে লেখা থাকবে বর্তমান সিইসি নুরুল হুদার নামও।