সরকারের সরাসরি নির্দেশেই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এর পরপরই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবাদ সম্মেলন শুরু হলে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের শুরু করলেও সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।’
এছাড়া অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে গুরুত্বহীনভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে বা কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে তা সম্পূর্ণ ব্লাকআউট করা হয়েছে বলেও এতে অভিযোগ করা হয়।
রিজভী বলেন, সরকারের সরাসরি নির্দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের ওপর সরকারের এই আচরণ স্বেচ্ছাচারী, অগণতান্ত্রিক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ।
এই ঘটনায় ভোটারবিহীন সরকারের গণবিরোধী কুৎসিত রূপটি আরও প্রকটভাবে ফুটে উঠল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, এটি বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এরা বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী একটি রাজনীতিক দল, যারা দুঃশাসন চালিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে অদৃশ্য করেছে।
এতে বলা হয়, একদলীয় অপশাসন প্রলম্বিত করার জন্যই বিরোধী মত দমনে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার নিরন্তরভাবে সদা তৎপর। সত্য প্রকাশিত হওয়ার ভয়েই সরকার আজ বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারে বাধা সৃষ্টিতে সরকারের ‘ন্যাক্কারজনক স্বৈরাচারী হস্তক্ষেপের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় দলটি।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post