অ্যানাইলাইসিস বিডি ডেস্ক:
ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ ছাত্র সমাবেশ করেছে এটি খুবই ভালো এবং ইতিবাচক দিক। কিন্তু ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে দায়িত্ব ছাত্র সমাজের জন্য পালন করার কথা ছিল সে ব্যাপারে ছাত্রলীগ সম্পূর্ন ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে।
ছাত্র সমাবেশে লেখা-পড়া ও শিক্ষাঙ্গন বা শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অধিকাংশ এজেন্ডা থাকবে। ছাত্রদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা আলোচনা হবে। কিন্তু তা না হয়ে সারা বিকাল শুধু শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আলোচনাই হয়েছে।
প্রত্যেক সংগঠনের নিজস্ব অর্থ বিভাগ থাকবে সেখান থেকে বাজেট হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর জন্য। কিন্তু ছাত্রলীগ এখানেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সারা দেশ থেকে আগতদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে। অথচ ক্যান্টিনে নিয়মিত খাবার খাওয়া ছাত্ররা অনেকেই না খেয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে। এই খবর প্রকাশ করা সমকালও পরে নিউজটি মুছে ফেলেছে হয়ত ছাত্রলীগের হুমকির কারেনে।
পরিবহন ও নাস্তা পানির জন্যও হয়ত বাজেট ছিল। কিন্তু ছাত্রলীগ এখানেও ব্যার্থ। দেখা গেছে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নিয়ে এসেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের চেয়ে আরও ভালো বাস তারা ভাড়া করে আনতে পারত। কিন্তু বাজেটের সব টাকা হয়ত পকেটে ঢুকিয়ে ফ্রিতে বাস নিয়ে চলে এসেছে।
মূল সংগঠনের প্রধান শেখ হাসিনার বক্তৃতার মাঝেও ছাত্রলীগকে নিয়ে শিক্ষামূলক তেমন কিছু ফুটে উঠে নাই। তার চিন্তুা ছিল হয়ত সামনের নির্বাচনে বিজয় লাভ করার জন্য ছাত্রলীগকে অস্ত্র-স্বস্ত্রে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো। কেননা ভোট ডাকাতিতে ছাত্রলীগের সহায়তা খুবই জরুরী শেখ হাসিনার। মূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদেরের বক্তব্য ছিল বিএনপিকে বিষোদগার করে, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে। যা ছাত্র সংগঠনের কোন দরকার নাই বা উপকারে আসবে না।
ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বয়স্ক কিছু মহিলাদেরও দেখা গেছে সমাবেশে। যাদের হয়ত লেখা পড়ার বয়স শেষ। শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য এখনও ড্রপ আউট করে বসে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যা একটি ছাত্র সংগঠনের সাথে যায় না।
৫ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা থাকলেও সেখানে গুটি কিছু লোক সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিল। বিটিসিএল সব সময় ঢাকার মধ্যে সীম গ্রাহকের প্রবেশ ও বাহিরের তালিকা প্রকাশ করলেও ছাত্রলীগের সমাবেশের পরে এমন কোন তথ্য প্রকাশ করেনি। সেটি প্রকাশ হলে হয়ত দেখা যতে তাদের প্রোগ্রামে লোকের সংখ্যা কেমন ছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করেন ১লা সেপ্টেম্বরের সমাবেশ একটি ব্যর্থতার সমাবেশ। রাষ্ট্রীয় প্রোটকল, টাকা-পয়সা ইত্যাদির অপচয়ের সমাবেশ। এটি সু-স্পষ্টভাবে প্রমানিত।
Discussion about this post