আজ ৯ মে। ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহেরের আজ ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।
অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের জন্ম ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার গহিরায়। চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জ ছোবহানিয়া মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন শেষে চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা হতে ১৯৬৮ সালে ফাজিল ও ১৯৭০ সালে কামিল পাশ করেন।
১৯৭১ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় চলে আসেন ও জেনারেল শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। তিনি টঙ্গী কলেজ হতে এইচ.এস.সি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৭৭ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস ও ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস পাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৯৭৯ সালে ডাকসুর তাহের-কাদের পরিষদে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে। মাওলানা আবু তাহের দেশের বৃহত্তম ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩য় সভাপতি হিসেবে ১৯৮০ ও ১৯৮১ এই দু’সেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রশিবির থেকে বিদায় নিয়ে কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার একটি স্বনামধন্য স্কুল এন্ড কলেজ আল-জাবির ইন্স্টিটিউট এর অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রামে সমাজসেবা, সমাজ-সংস্কার, সংবাদ পত্র প্রকাশ ও শিক্ষা খাতের প্রসারে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন।
মাওলানা আবু তাহের সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন। তিনি প্রায় ১৪ বছর জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরের আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
দ্য ডেইলী কর্ণফুলী পাবলিকেশন্স এর চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা ইসলামিক সেন্টার এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার ও ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির গবেষণা কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২০ সালের ৯ মে তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্তেকাল করেন। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁকে ক্ষমা করুন ও জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।
Discussion about this post