অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত নায়িকা পরী মনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সারাদেশে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে-পরী মনির সাথে এদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে এখন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি বলছে-তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য এসেছে। এখন সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, পরী মনিকে গ্রেফতারের দিনই বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে। রাজের মাধ্যমেই সিনেমা জগতে পরী মনির উত্থান হয়েছিল। আর রাজের বিরুদ্ধে শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবদসহ অনেক প্রভাবশালীদেরকে সুন্দরী নারী ও মদ সপ্লাই দেয়ার তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। নজরুল ইসলাম রাজ তার বাসাতেও সুন্দরী তরুণী ও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে নিয়মিত আসর বসাতেন। রাজের উত্থান ও তার নেটওয়ার্ক দেখেও হতবাক গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম রাজের এই উত্থানের পেছনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত রয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় থাকার কারণেই রাজ দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসতে পারছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু নজরুল ইসলাম রাজকে আশ্রয় দিয়ে আসছেন। ইতিমধ্যে আমুর সঙ্গে একই গাড়িতে যাওয়া নজরুল ইসলাম রাজের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে-নজরুল ইসলাম রাজ গাড়িটির সামনের বাম দিকের সিটে বসা আর তার বরাবর পেছনের সিটে বসা আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু।
রাজনীতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ বলছেন-নজরুল ইসলাম রাজের অনৈতিক উত্থানের পেছনে যে রাজনৈতিক আশ্রয় আছে এই ছবি এটারই প্রমাণ। রাজের পেছনে এই প্রভাবশালী নেতার সেল্টার থাকার কারণেই প্রশাসনের লোকজন তাকে কিছু করতে পারেনি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে-পরী মনি, পিয়াসা, মৌ ও রাজদের পেছনে আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতার যোগাযোগ আছে। তারা সরকারি দলের হওয়ার কারণে হয়তো কখনো তাদের নাম প্রকাশ হবে না।
Discussion about this post