অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মোবাইল ফোনে দলের নেতাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে এখন টালমাটাল অবস্থায় আছেন কামরাঙ্গীরচর এলাকার সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
চাঁদাবাজির অডিও ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ইজ্জত রক্ষায় এটাকে সালিশি আলোচনা হিসেবে উল্লেখ করে ৫৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আহমদ ও সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন কামরুল ইসলাম।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এটাকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের আগেই আলী আহমদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
একজন নাগরিক হিসেবে এমপি কামরুলের আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার অবশ্যই আছে। তিনি মামলা করতেই পারেন। মামলা নেয়াও ওসির দায়িত্ব। ঘটনা সেটা নয়।
প্রশ্ন হলো-এমপি কামরুল কিসের ভিত্তিতে মামলাটি করেছেন? আর কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কিসের ভিত্তিতে অডিও রেকর্ডটি যাছাই বাছাই না করেই আলী আহমদকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন?
কামরুল ইসলাম মামলার আরজিতে চাঁদাবাজির এই ফোনালাপকে ‘সালিশি আলোচনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়-ডিস লাইনের বকেয়া টাকা চাইতে তিনি আলী আহমদকে ফোন করেছিলেন।
কিন্তু ফোন আলাপ বলছে ভিন্ন কথা। ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে শোনা যায় কামরুল ইসলাম চেয়ার অনুযায়ী টাকা চেয়েছেন। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটা যদি ডিস বিলের টাকার জন্য হয় তাহলে য়ার অনুযায়ী টাকা দেয়ার কথা বলছেন কেন? ডিস বিল কি চেয়ার অনুযায়ী আসে নাকি লাইন হিসেবে আসে?
দ্বিতীয়ত: ডিস বিলের জন্য মাসে ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকবে কেন? এটা লাইন অনুযায়ী ১ লাখও হতে পারে, ২ লাখও হতে পারে আবার ৫০ হাজারও হতে পারে। কামরুল সাবে তাকে প্রতিমাসে ৮০ হাজার টাকা দিতে বললেন কেন?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরাঙ্গিরচর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানও মোটা অংকের টাকা খেয়ে এমপি কামরুলকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এই মামলার মাধ্যমে মূলত কামরুলের চাঁদাবাজির ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন ওসি মোস্তাফিজ। জানা গেছে, কামরাঙ্গীরচরে ওসি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধেও সাধারণ মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে। মানুষ মনে করছেন, কামরুলকে রক্ষায় এখন ওসি মোস্তাফিজ মাঠে নেমেছেন।